প্রাতঃকৃত্যের উপযোগিতা

প্রভাতে উঠিয়া দেবতার নাম স্মরণে মন ও দেহ দেবভাবাপন্ন হয়, অতএব দেবভাবাপন্ন মন , এই দেহে কখনও পশুর মত বা হীন ব্যক্তির মত কার্য্য করিতে অগ্রসর হইবে না। ভগবান্কে একান্ত-চিত্তে আত্নসমর্পণ করিয়া যদি কোন রকম পাপকার্য্যেরও অনুষ্ঠান কর তথাপি তাহাতে তুমি লিপ্ত হইবেনা । তবে কিনা “গরু মারিলাম গোবিন্দের ইচ্ছায়, আর টাকা পেলাম নিজের ইচ্ছায়” হইল চলিবে না ।
      

 একান্তমনে ভক্ত প্রহলাদ পিতৃ প্রদত্ত বিষ, ভগবানএক নিবেদন করিয়া নিজের খাওয়াটা ভগবানের খাওয়া মনে করাতেই মরে নাই । পিতৃপ্রদত্তবিষও ভগবানের দান মনে করিয়াছিল । এই জন্য ভক্ত তাহা উপেক্ষা করে নাই । এই রকম জগতে যতই সুখ দুঃখ আপদ বিপদ থাকুক না কেন, সমস্থই ভগবানে সমর্পণ করিতে পারিলে কখনও পাপে লিপ্ত হইতে হয় না এবং সুখী হইয়াদীর্ঘ জীবন লাভ করা যায় । তৎপর শিরঃস্থিত সহস্রদলপদ্মে গুরুকে ধ্যান করিবে প্রাতঃ শিরসি শুক্লাব্জে দ্বিনেত্রং দ্বিভুজংগুরুম । প্রসন্নবদনং শান্তং স্নরেত্তন্নামপূর্ব্বকম্ ।। দীক্ষাগুরু স্ত্রীলোক হইলে স্ত্রী-গুরুর ধ্যান করিবে ।
 গুরুনমস্কার যথা-
(ওঁ) অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্।
ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকরা ।
 চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুরবে নমঃ ।। ২ ।।
 ওঁ নমোহস্ত গুরবে তস্মৈ ইষ্টদেবস্বরূপিনণ ।
 যস্য বাক্যামৃতং হন্তি বিষং সংসারসংজ্ঞকম্ ।। ৩ ।।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

শ্রীশ্রী সত্যনারায়ন ও শ্রীশ্রী শনি ঠাকুর পূজার ফর্দ্দ

ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শূদ্র

শ্রী শ্রী শ্যামা পুজার ফর্দ্দ তালিকা